মজাদার আলুপুরি ও তেঁতুলের টক


মজাদার আলুপুরি ও তেঁতুলের টক


হোটেলের পুরি খেতে যতই সুস্বাদু হোক, সেটি স্বাস্থ্যকর নয় একেবারেই। বাড়িতে বানিয়ে ফেলতে পারেন মজাদার আলুপুরি। এটি খেতে যেমন মচমচে হবে, তেমনি থাকবে না কোনও স্বাস্থ্যঝুঁকিও। জেনে নিন রেসিপি।

উপকরণ

ময়দা- ১ কাপ

লবণ- ১/৪ চা চামচ

তেল- ১ টেবিল চামচ

আলু- ৩টি

পেঁয়াজ বেরেস্তা- প্রয়োজন মতো

ধনেপাতা কুচি- প্রয়োজন মতো

শুকনা মরিচ- ৩টি

বিট লবণ- সামান্য

আমচুর পাউডার- সামান্য

তেল- ভাজার জন্য

টক তৈরির উপকরণ

পাকা তেঁতুল- দেড় টেবিল চামচ

লবণ- স্বাদ মতো

চিনি- স্বাদ মতো

শুকনা মরিচ- ১টি (গুঁড়া)

ভাজা জিরা ও ধনের গুঁড়া- সামান্য

লেবুর খোসা কুচি- সামান্য 

প্রস্তুত প্রণালি

ময়দার সঙ্গে লবণ মিশিয়ে নিন ভালো করে। তেল দিয়ে সময় নিয়ে মেশান আবারও। এবার অল্প অল্প করে রুম টেম্পারেচারে থাকা পানি মিশিয়ে নিন ময়দার সঙ্গে। পরোটা তৈরির জন্য যেভাবে খামির বানানো হয়, ঠিক সেভাবেই বানাতে হবে। খামির মথে রেখে দিন ১৫ মিনিটের জন্য।

এরমধ্যে পুর তৈরির জন্য আলু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে ভর্তা করে নিন। সামান্য লবণ মিশিয়ে শুকনা মরিচ ডলে গুঁড়া করে নিন। এবার পেঁয়াজ বেরেস্তা ও ধনেপাতা দিয়ে মেখে নিন শুকনা মরিচের মিশ্রণ। আমচুর পাউডার ও বিট লবণ দিয়ে মরিচের মিশ্রণ ও আলু ভর্তা মেখে নিন। ছোট ছোট করে গোল করে আলাদা করুন আলু। খামির যতটুকু করে গোল করবেন, আলু তার চেয়ে সামান্য ছোট করে গোল করুন।

খামির আরও দুই মিনিট মথে নিন। খামির থেকে গোল করে কিছু অংশ নিয়ে হাত দিয়ে চেপে চেপে ছড়িয়ে দিন। উপরে আলু দিয়ে চারপাশ থেকে মুখ আঁটকে আবারও মাজখানে চেপে চেপে ছড়িয়ে দিন। চাইলে রুটির মতো বেলেও নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন পুরি ফেটে না যায়। মাঝের অংশ মোটা ও চারপাশের অংশ পাতলা থাকতে হবে।

মাঝারি আঁচে চুলায় তেল গরম করে পুরি ভেজে তুলুন। একটু সময় নিতে ভাজতে হবে আলুপুরি। টক তৈরি জন্য বাটিতে তেঁতুল নিয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, কিছুক্ষণ পর চটকে নিন হাত দিয়ে। টক তৈরি বাকি সব উপকরণ মিশিয়ে নিন। ব্যস! তৈরি হয়ে গেল মুখরোচক টক। এবার গরম গরম পুরির সঙ্গে পরিবেশন করুন।  

0 Comments

Follow Me On Instagram